OrdinaryITPostAd

মানবদেহে শসার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন!!!

শসা এক প্রকার উদ্ভিদ যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারি। যার গুনাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। তাই আমরা আজকের এই কনটেন্টের মাধ্যমে শসার যাবতীয় গুনাগুণ সম্পর্কে এবং দৈনন্দিন জীবনে মানবদেহে শসার যে উপকারিতা তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো। চলুন জেনে নেই শসার নানাবিদ গুনাবলি সম্পর্কে।



মানবদেহে শসার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন!!!

 
শসা অতি পরিচিত একটি উদ্ভিদ যা আমরা সহজেই হাতের নাগালে পাই। শসার উৎপত্তিস্থল ভারত হলেও বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব জায়গাতেই এটি জন্মে ও সর্বক্ষেত্রে অনেক সহজলভ্য। উদ্ভিদটি লতায় জন্মানো এক প্রকার লম্বাটে আকৃতির ফল। এটি সাধারণত ৫-৭ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং গায়ের রং হয় সবুজ আকৃতির। শসা পাকলে হলদেটে রংয়ের হয় থাকে। কাঁচা ও পাকা শসার গুনাগুন একই হয়ে থাকে। ভেতরটার মাঝে দানা আকৃ্তির লম্বাটে বিচি রয়েছে যার রং হয় সাদা ও সবুজ। এটি সাধারণত কাঁচা খাওয়া বা সালাদ তৈরীতে ব্যবহার হয়। এটি সাধারণতঃ গরমের সময় বেশি পাওয়া যায়। বর্তমানে সারা বছরেই এর চাষ হয়। এখন আমরা শসার উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।


শসার উপকারিতা :

পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রজাতির শসা রয়েছে। শসা এক দরণের ফল। এটি সাধারনত সবুজ রঙের লম্ব আকৃতির হয়ে থাকে। শসা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি। এই ফলে ক্যালোরির পরিমাণ কম এবং পানির পরিমাণ বেশি থাকে । চামড়া সহ ১০০ গ্রামের একটি কাঁচা শসায় ক্যালরির পরিমাণ ২০ কিলো ক্যালরি।

মানবদেহে নানা উপকারিতার পাশাপাশি শশায় রয়েছে ভিটামিন বি, থিয়ামিন (বি১), ফাইবার, প্রোটিন, রাইবোফ্লাবিন (বি২), ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, প্যানটোথেনিক, বি৫, বি৬, গ্লুকোজ, স্নেহপদার্থ, বিভিন্ন ধরনের খনিজ পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা, সোডিয়াম, দস্তা, নিয়াসিন (বি৪), ফোলেট (বি৯), ক্যালোরি এবং সব থেকে বেশি থাকে জলীয় পদার্থ যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়। শসায় রয়েছে ৯৫ ভাগ পানি যা শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই পানি শূন্যতা দূরীকরণে শসা খাওয়ার বিকল্প নেই। শসায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সিলিকন রয়েছে যা আমাদের ত্বকের যত্ন নেয়ার জন্য বিশেষভাবে কার্যকর। শসায় রয়েছে উচ্চমাত্রার পানি ও ফাইবার রয়েছে যা আমাদের ওজন কমাতে ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শসার প্রচুর পরিমাণে এরেপসিন নামক এনজাইম আছে যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করেতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে ব্যাপক কার্যকর। শসার অভ্যন্তরের পানি আমাদের শরীরের বর্জ্য এবং বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে সাহায্য করে থাকে। এটা আমাদের রক্তকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি আলসার, এসিডিটির ক্ষেত্রে ও যথেষ্ট উপকারী। শসা আমাদের শরীরের ইউরিক এসিডের মাত্রা সঠিক রাখার দরুন কিডনিকে সুস্থ ও সতেজ । রাখে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও শসার যুগান্তকারী ও সহায়ক ভূমিকা রয়েছে। শসা পর্যাপ্ত পরিমাণে খেলে বিভিন্ন প্রকার জটিল রোগ যেমন-জরায়ু ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমায়। একটি গবেষণায় দেখা যায়, শসা মুখের দূর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। মুখের ভিতরে থাকা বজ্র পদার্থ, টক্সিন এবং দূষিত গন্ধ দূর করতে কার্যকরী।
 

শসা খাওয়ার নিয়মাবলী:

শসা খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে একপাশ থেকে অল্প করে কিছু অংশ কেটে নিন। চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, শসার উপরের ত্বকটি না ছিলে খাওয়ার জন্য যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা উপকারী। দৈনিক একটি শসা আমাদের শরীরের অনেক চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। শসায় আছে ১.৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০.৩ গ্রাম ফাইবার ও ০.৩ গ্রাম প্রোটিন। ভালোভাবে জেনে দৈনিক নিয়ম করে আমাদের শসা খাওয়া উচিৎ। শসা সাধারণত হজম হতে বেশি সময় নেয়, তাই রাতে ঘুমানোর আগে খাবারের ২০-৩০ মিনিট আগে খেলে তা অনেকক্ষণ পেটে থাকে। সকালে খালি পেটে শসা খাওয়া ঠিক নয়, কারণ শসায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম যা লো ব্লাড প্রেসার সৃষ্টি করে থাকে। শসা আপনি রান্না করে খেতে পারেন, এটি পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। আপনি এটি সালাদ বানিয়েও খেতে পারেন।
 

রূপচর্চায় শসা:

রূপচর্চায় শসা একটি আধুনিক পদ্ধতি যা আমরা ঘরে বসেই এর প্রয়োগ করতে পারি। রাতে ঘুম কম হলে আমাদের অনেকের চোখের নিচে কালো দাগ হয়। একে ডার্ক সার্কেল বলে। এই কাল দাগ পরিষ্কার করতে শসা অত্যন্ত উপকারী। শসা গোল করে কেটে চোখের উপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। এভাবে সপ্তাহে কয়েকবার করলে আপনি এ থেকে প্রতিকার পেতে পারেন। শসায় প্রচুর পরিমাণে খনিজ সিলিকা ও মিনারেল রয়েছে যা তোমাদের নখ বড় এবং সুন্দর রাখতে সাহায্য করে থাকে। শসা আমাদের পেট পরিষ্কার রাখতে সহযোগিতা করে, এতে করে মুখমণ্ডলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়তাই আমাদের যখন পেট পরিষ্কার থাকে, এবং তখন আমাদের ব্রণ হবার সম্ভাবনা কমে যায়। নিয়মিত পরিমান মত শসা খেলে চুল সজীব থাকে ও চুল পড়া বন্ধ হয়। পাশাপাশি শ্যাম্পু ব্যবহার করার সময় শসার রস মিশালে চুল সাইনি হয়।


প্রিয় পাঠক, আমরা আজকের এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে লতা বৈশিষ্ট্য উদ্ভিদ ফল শশার উপকারিতা, এর যথাযথ ব্যবহার ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পেলাম। আমাদের আজকের এই কনটেন্টের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোকবর্ষ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুণ। প্রীতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪