OrdinaryITPostAd

হ্যাকার থেকে মোবাইল ফোন রক্ষার টিপস

আধুনিক প্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোন ব্যতীত কোন কিছুই চিন্তা করা যায় না। এর প্রধান কারণ হলো  যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমরা মোবাইল ফোনের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে পরেছি। এক্ষেত্রে, আমাদেরকে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ও মোবাইল ফোনে থাকা তথ্য-উপাত্ত রক্ষা করার ক্ষেত্রে কিছু গোপনীয় টিপস অনুসরণ করা এবং সচেতন থাকা একান্ত জরুরী। প্রিয় পাঠক, আমরা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাকে হ্যাকার থেকে মোবাইল ফোন রক্ষার প্রয়োজনীয় টিপস সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা প্রদান করব। 
বর্তমান মোবাইল দুনিয়ায় উইন্ডোজ, অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস এই তিন ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের ফোন সর্বত্রই পাওয়া যায়। তন্মধ্যে অ্যাপেলের আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মোবাইল ফোন বহুল আলোচিত ও সমাদৃত। চলুন জেনে নেই, হ্যাকার থেকে কিভাবে মোবাইল ফোন রক্ষা করবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ জেনে নিন হ্যাকার থেকে মোবাইল ফোন কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন-
আমাদের মধ্যে অনেকেই এমন ধারণা পোষণ করেন যে, মোবাইল ফোনের ধরনের ভিত্তিতে ফোন হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় এমন ধারণা আসলে মোটেই সঠিক নয়। আপনার ফোনটি সুরক্ষিত রাখতে হলে কিছু প্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর অবশ্যই দৃষ্টি রাখা উচিত। আবার অনেকে মনে করেন অ্যান্ড্রয়েড ফোনের চাইতে অ্যাপেলের ফোন বেশি সুরক্ষিত এটি মোটেই সঠিক নয়। তবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনকে হ্যাক করা যতটা সহজ অ্যাপেলের ফোন হ্যাক করা অতটা সহজ নয়। বর্তমান সময়ে হ্যাকাররা প্রযুক্তি জ্ঞান সমৃদ্ধ বিদায় তারা সহজেই হ্যাক কর নিচ্ছে অ্যাপেলের আইফোন। 
ফ্যাক্টরি রিসেট করুন
আপনার ফোনটি হ্যাক হয়েছে এমনটি ধারণা পোষণ করলে, ভাইরাস ও সফটওয়্যার জনিত সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণাৎ আর দেরি না করে ফোনটি ফ্যাক্টরি রিসেট দিন। ফ্যাক্টরি রিসেট এর কারণে আপনার ফোনের যাবতীয় অপারেটিং সিস্টেম নতুনভাবে ইনস্টল হবে এতে করে আপনার ফোনটি হ্যাক হওয়া থেকে নিরাপদ থাকবে। প্রয়োজনে আপনার ফোনটি ডিভাইস লক অথবা আপনার ফোনের ভেতরের ফাইল ফোল্ডার লক করে রাখতে পারেন।

নিয়মিত আপডেট করুন
আপনার ফোনটি নিয়মিত আপডেট করার ক্ষেত্রে সর্বদাই সচেষ্ট থাকুন। ফোন, ডিভাইস বা ল্যাপটপ যাই হোক না কেন সেটি যথাসময়ে আপডেট রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত আপডেট করার দরুন ফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকে। প্রয়োজনে ফোনে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিন। এক্ষেত্রে,  অ্যাপেলের নিরাপত্তার স্বার্থে পল বিখ্যাত। আইফোন অন এবং সুইস্ট অফ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরের সুরক্ষা রয়েছে। এই ফোনের প্রথম স্তরের সুরক্ষার মধ্যে যেমন রয়েছে ফেসআইডি, টাচআইডি এবং পাসওয়ার্ড যাচাইকরণের ফিচার, তেমনই রয়েছে, সফটওয়্যার-ভিত্তিক সুরক্ষাও। তাই, আপনার মূল্যবান ফোনকে হ্যাকার থেকে মুক্ত রাখতে এবং ফোনের যেকোন ত্রুটি-বিচ্যুতি সমাধান করতে আপডেটের বিকল্প নেই।
টু-ফ্যাক্টর ব্যবহার করুন
আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির যুগে অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে প্রসারিত হওয়ায় আমরা ঘরে বসে সহজেই আমাদের দৈনন্দিন কাজ শেষ করে থাকি। অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ই-মেইল, ব্যাংক, ই-কমার্স সাইটসহ যাবতীয় অ্যাকাউন্ট ব্যবহার এখন নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় অংশ। তবে, এ জাতীয় অনলাইন অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের পাশাপাশি এখন এর নিরাপত্তার কথাও চিন্তা করতে হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অথবা অনলাইন ভিত্তিক যেসকল অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাদের নিরাপদ রাখতে শুধুমাত্র পাসওয়ার্ডের ওপর নির্ভরশীল থাকলে হয় না, কারণ যুগ যতই এগোচ্ছে হ্যাকারদের আনাগোনা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনলাইনের এসব অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখার জন্য প্রয়োজনে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বা সংক্ষেপে টুএফএ সিস্টেম চালু রাখা একান্ত আবশ্যক। আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টে যদি টুএফএ অপশান চালু থাকে তাহলে শুধুমাত্র পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করা সম্ভব হবে না, কারণ এর জন্য প্রয়োজন হবে টুএফএ কোডের। অর্থাৎ, কেউ যদি অসৎ উপায়ে আপনার অ্যাকাউন্টের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড জেনেও নেয়, টুএফএ কোডের কারণে তার পক্ষে আপনার অ্যাকাউন্ট ওপেন করা সম্ভব হবে না। অ্যাকাউন্ট ওপেন করার চেষ্টা করলে আপনার ফোনে বা ইমেইলে একটি টুএফএ কোড আসবে। এতে করে তাৎক্ষণাত আপনি বুঝতে পারবেন কেউ আপনার একাউন্টটি ওপেন করা বা হ্যাক করার চেষ্টা করছে। ফলে  আপনি তাকে জানতে হবে। ফলে, আপনার মোবাইলে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু থাকলে আপনার অ্যাকাউন্টি থাকবে সর্বদাই নিরাপদ। 
লকডাউন মোড
আপনার মোবাইল ফোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লকডাউন মোড অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রটেকটিভ সিস্টেম। আপনার মোবাইল ফোনটি যদি কোন প্রকার স্পাইওয়্যার দ্বারা হাইলি টার্গেটেড এটাক এর ঝুঁকিতে পড়ে থাকে সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার স্বার্থে লকডাউন মোড চালু রাখতে পারেন। অ্যাপেল আইওএস ডিভাইসে লকডাউন মোডটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাওয়া যায়। অ্যাপেল ফোনের লকডাউন মোড ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথমত আপনার ডিভাইসের সেটিংস-এ প্রবেশ করে সফটওয়্যার আপডেট করা আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। উল্লেখ্য, নতুন ভার্সান এর অ্যাপেল ফোন ছাড়া পুরাতন ভার্সানের অ্যাপেল ফোনে আপনি এই সুবিধা পাবেন না। এই ধরনের লকডাউন মুড সিকিউরিটি ব্যবহারের দরুন আপনি স্পাইওয়্যার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে অনেকটাই নিরাপদ থাকতে পারেন। 

প্রিয় পাঠক, আমরা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে তথ্য-প্রযুক্তির দ্বারা কিভাবে হ্যাকার থেকে আপনার প্রিয় মোবাইল ফোন রক্ষা করবেন, অর্থাৎ নিরাপদ রাখবেন সে সম্পর্কে সচেষ্ট থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেলাম। আজকের এই আর্টিকেলটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোকবর্ষ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুণ। প্রীতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪