OrdinaryITPostAd

চোখের রহস্য সম্পর্কে জানুন!!!

মানুষের মস্তিষ্কের পরে শরীরের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো চোখ। চোখের বিচিত্রময় রহস্য আমাদেরকে প্রতিনিয়তই অবাক করে। চোখ নিয়ে রয়েছে অনেক প্রবাদ বাক্য। উপন্যাসেও চোখের বিষয়ে অনেক কল্পকথা লুকায়িত রয়েছে। চোখ অন্য মানুষের নজর কাড়ে, তবে বৈজ্ঞানিকভাবে চোখের বিভিন্ন প্রকার রহস্যময় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আসুন আমরা জেনে নেই মেডিকেল সাইন্স চোখ নিয়ে কি বলছে?



চোখের রহস্য সম্পর্কে জানুন!!!



মহান সৃষ্টিকর্তা প্রাণী জগতের সকল সৃষ্টিতে রহস্যময় চোখ স্থাপন করে প্রাণের মহাত্মতা বাড়িয়েছেন। চোখ মানুষের শরীরের বিশেষ অঙ্গ। মস্তিষ্কের পর শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে চোখ। মূলত চোখের কারণেই আমাদের ব্রেনের অর্ধেক কাজ পরিচালিত হয়ে থাকে।


উৎপত্তিঃ
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় ৫৫০ মিলিয়ন বছর পূর্ব থেকে চোখের উৎপত্তিস্থল। চোখে থাকা অপটিক লিস্টের কারণে আমরা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছি।


কার্যক্রমঃ
মানুষের চোখ ঘন্টায় ৩৬ হাজার তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে। মানুষ সেকেন্ডে পাঁচ বার পলক ফেলাসহ বছরে ৪২ লক্ষ বার পলক ফেলে থাকে। একটা পলক ফেলার ন্যূনতম সময় হলো ১০০-১৫০ মিনি সেকেন্ড। একজন সুস্থ মানুষ চোখ দিয়ে কোন প্রকার বিরতি না নিয়েই শতকরা ১০০% কাজ করতে সক্ষম। আমাদের ২ জোড়া চোখে রয়েছে পাপড়ি। সেই পাপড়ির কারণে চোখে কোন কিছু আঘাত করতে আসলে আমরা তা থেকে রক্ষা পাই। চিকিৎসকগন চোখ দেখে সহজেই শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সম্মুখ দারনা পান।


চোখের মেগাপিক্সেলঃ
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে মেগাপিক্সেল বিষয়টি সুপরিচিতি একটি নাম। আমরা সাধারণত স্মার্ট ফোন বা ডিভাইস কেনার ক্ষেত্রে ডিভাইসটির ক্যামেরার মেগাপিক্সেল কত তা আমরা জানতে চেষ্টা করি। ডিজিটাল ক্যামেরা অথবা মোবাইলে সংযোজিত ক্যামেরায় মেগাপিক্সেল যেমন রয়েছে, তেমনি চোখেরও নিজস্ব মেগাপিক্সেল রয়েছে। চোখের মেগাপিক্সেল এর সহায়তায় আমরা দূরবর্তী কোনো জিনিস সহজে দেখতে পাই। মানুষের চোখকে যদি ডিজিটাল ক্যামেরায় রূপান্তর করা হয় তাহলে তার সক্ষমতা দাঁড়ায় ৫৭৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার সমান। আপনি হয়তো খেয়াল করবেন যে, আপনার শখের মোবাইল ডিভাইচটি যখন আস্তে আস্তে পুরাতন হতে থাকে তখন তার ক্যামেরার কোয়ালিটিও খারাপ হতে থাকে। তেমনি মানুষের ক্ষেত্রেও বয়স যত হতে থাকে তখন তার চোখের জ্যোতিও কমতে থাকে।


চোখের কারুকাজঃ
এক একটি চোখ প্রায় ১০৭ মিলিয়ন সেল দ্বারা গঠিত। তথ্য মতে, মানুষের চোখে আইবলের ভরের পরিমাণ হচ্ছে ২৮ গ্রাম। একটা চোখে প্রায় দুই মিলিয়ন ওয়ার্কিং পার্টস থাকে যেগুলো সম্মিলিতভাবে আমাদের দেখার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে। চোখে রয়েছে কর্নিয়া যা এক প্রকার চোখের অঙ্গ যার মধ্যে কোন ব্লাড ভেসেল থাকে না।


চোখের ধরনঃ
মানুষের মধ্যে সবচাইতে সাধারণ চোখের কালার হচ্ছে ব্রাউন। তবে কোথাও কোথাও নীল চোখ বিশিষ্ট মানুষ আমরা দেখতে পাই। ধারণা করা হয়, নীল চোখ বিশিষ্ট মানুষগুলোর প্রথম উৎপত্তি হয় পৃথিবীতে প্রায় ১০ হাজার বছর আগে। এখন যাদের আমরা নীল চোখ বিশিষ্ট দেখতে পাই তারা ওদেরই বংশধর।


প্রিয় পাঠক, আমরা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে চোখের রহস্য ও জীবন বৈচিত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারতাম। আজকের এই আর্টিকেলটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোকবর্ষ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুণ। প্রীতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪