OrdinaryITPostAd

চাঁদে বাড়ি করতে চীনের যাত্রা সম্পর্কে জানুন!!!

পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ এবং সৌরজগতের পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব হচ্ছে ৩৮৪,৪০০ কিলোমিটতার (প্রায় ২৩৮,৮৫৫ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় ৩০ গুণ। এই উপগ্রহের মধ্যে বাড়ি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন চীনা সরকার। আমরা আজকের এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে চাঁদে বাড়ি করতে চীনের যাত্রা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে পারবো।



চাঁদে বাড়ি করতে চীনের যাত্রা!!!


চাঁদই একমাত্র কৃত্রিম উপগ্রহ যাতে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ভ্রমণ করেছে এবং তার পৃষ্ঠতলে অবতরণ করেছেন। প্রথম যে কৃত্তিম বস্তুটি পৃথিবীর অভিকর্ষ অতিক্রম করেছিল এবং চাঁদের কাছ দিয়ে উড়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল তা হল সোভিয়েত ইউনিয়নের লুনা-১ আর লুনা-২ প্রথবারের মত চাঁদের পৃষ্ঠতলকে প্রভাবান্বিত করেছিল। চাঁদের দূরবর্তী যে অংশটা স্বাভাবিকভাবে লুকায়িত থাকে তার প্রথম সাধারণ ছবি তুলেছিল লুনা-৩। এই তিনটি ঘটনাই সোভিয়েত ইউনিয়নের তত্ত্বাবধানে ১৯৫৯ সালে সংঘটিত হয়। ১৯৬৬ সালে লোনা নয় লুনা-৯ প্রথমবারের মত চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে এবং লুনা-১০ প্রথমবারের মতো চাঁদের কক্ষপথ পরিক্রমণ করতে সমর্থ হয়। যুক্তরাষ্ট্র এদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে পাল্লা দিতে অ্যাপোলো প্রকল্প শুরু করে। পরে ১৯৬৯ সালে, অ্যাপোলো-১১ অভিযান প্রথমবারের মতো চাঁদে মনুষ্যবাহী নভোযান অবতরণ করাতে সমর্থ হয়। নিল আমস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন ছিলেন প্রথম মানুষ যাঁরা চাঁদে হেঁটেছেন। 

তারই অভিজ্ঞতার আলোকে চীন দেশ এখন চাঁদের ভূপৃষ্ঠে বাড়ি করার যাত্রা শুরু যাচ্ছে।এমনকি, বাড়ি নির্মাণ করতে চাঁদের মাটি ব্যবহার করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। খুব দ্রুতই এই কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করতে চায় এই দেশটি। চাঁদে বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যে চাঁদের মাটি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। দেশটি থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির মাধ্যমে বিষয়টি অনুসন্ধান করার পরিকল্পনা করতে যাচ্ছেন।

২০২০ সালে চীন চন্দ্র অভিযানে এক অভূতপূর্ব ফলাফল দেখতে পান। অভিযানে ব্যবহৃত রোবট যানটির নাম ছিল 'চ্যাং- ই ৫'। এটি ছিল চীনের প্রথম চালকবিহীন যান, যে চাঁদের মাটি পৃথিবীতে প্রথম এনেছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে প্রথম চাঁদে অবতরণকারী চীন ২০৩০ সালের মধ্যে একজন নভোচারী চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে। পরিকল্পনা মোতাবেক এখন থেকে চ্যাং- ই ৬, ৭ ও ৮ অভিযান কার্যক্রম চালাবে। সর্বশেষ অভিযানটির মাধ্যমে চীন চাঁদে বসতি স্থাপনের জন্য চাঁদে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য সম্পদ অনুসন্ধান করবে। চীনের মহাকাশ বিজ্ঞানী উ ওয়েরেন জানিয়েছেন যে, যদি আমরা চাঁদে দীর্ঘ দিন থাকতে চাই তাহলে আমাদের চাঁদের নিজস্ব উপাদান ব্যবহার করে স্টেশন স্থাপন করতে হবে।

প্রিয় পাঠক, আমরা আজকের এই কন্টেন্টের মাধ্যমে পৃথিবীর একমাত্র কৃত্রিম উপগ্রহ চাঁদে চীন দেশ কিভাবে চাঁদের ভূপৃষ্ঠে বাড়ি নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা আমরা বিস্তারিত জানলাম। আজকের এই কনটেন্টের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোকবর্ষ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুণ। প্রীতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪