OrdinaryITPostAd

প্রচন্ড গরমে ডায়াবেটিস রোগীর করণীয় সম্পর্কে জানুন!!!

গ্রীষ্মকালে গরমের তীব্রতা আগের তুলনায় এখন প্রচণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন জ্যৈষ্ঠ মাস। স্বাভাবিক গরমের পাশাপাশি রয়েছে আম পাঁকার গরম। তাই আমাদের তিব্র এই গরমে নিজেদেরকে সুস্থ রাখতে কিছু প্রয়োজনীয় টিপস বা নিয়ম-কানুন মেনে চলা উচিৎ। আজকের এই কন্টেন্টের মাধ্যমে প্রচন্ড গরমে ডায়াবেটিস রোগীর করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।



প্রচন্ড গরমে ডায়াবেটিস রোগীর করণীয় সম্পর্কে জানুন!!!


বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে গরমের তিব্রতা প্রতিনিয়তই এতো বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করছে। বর্তমানে বায়ুমন্ডলে প্রচন্ড পরিমাণে দাবদাহের কারণে সকলের নাবিশ্বাস উঠেছে। তাই আমাদের এই তীব্র গরমে কিছু নিয়ম অনুযায়ী জীবনযাত্রা নির্বাহ করা উচিত। বর্তমানে রাজধানী সহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলে গরমের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। সাধারণত ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র দাবদাহ বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়ে ৪৫ ডিগ্রী ছুঁয়েছে। অনেকটা মরুভূমি অঞ্চলের আবহাওয়া বিরাজ করছে। তীব্র গরমের কারণে বয়স্ক, প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুরা নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই অন্যান্য বয়স্কদের পাশাপাশি ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত রোগীদের বিশেষ যত্নবান উচিত। তীব্র দাবদাহের দরুন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের পানি শূন্যতা থেকে শুরু করে, প্রস্রাবে প্রদাহ, ত্বকের সমস্যা ও এলার্জিসহ নানাবিদ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। যে সকল ডায়াবেটিস রোগী কিডনি সমস্যায় ভুগছেন, উচ্চ রক্তচাপ তথা ডাইউরেটিক্স ধরনের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ঔষধ সেবন করে থাকেন এবং যাদের হৃদরোগ রয়েছে তাদের এসব সমস্যা জোরালোভাবে দেখা দেয়।


গরম আবহাওয়া ডায়াবেটিস রোগীর সমস্যা সৃষ্টির কারণঃ তীব্র গরমে ডায়াবেটিস রোগীর জল বিয়োজন একটি প্রধান সমস্যা। এতে করে শরীরে অতিমাত্রায় গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এই সময় ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত তরল জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। আর একটি উদ্যেগজনক দিক হল শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ দ্রুত বাড়ে ও কমে যার কারণে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা হাইপারগ্লাইসেমিয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।


গরম আবহাওয়ার ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীর ঝুঁকিঃ যে সকল ডায়াবেটিস রোগী ব্লাড সুগার কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিচ্ছেন, গরম আবহাওয়ায় তাদের হাইপোগ্লাইসেমিয়া বাড়ার ঝুঁকি থাকে। তীব্র গরম ও আদ্রতায় শরীরে মেটাবলিজমের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বাড়ার আশঙ্কা থাকে। গরমে ঘর্মাক্ত বা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ হতে পারে। তাই এ সকল বিষয় আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত নয়। তাই গাড়ি চালানোর আগে ও পরে আপনার শরীরের বাড়তি যত্ন নিন এবং ভ্রমণের পূর্বে ব্লাড সুগার পরীক্ষা করে নিন। তীব্র গরমে শারীরিক পরিশ্রম বৃদ্ধি পেলে এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে ঘন ঘন ব্লাড সুগার টেস্ট করে নিন। কার্বোহাইড্রেট থেকে দূরে থাকার জন্য আপনার সঙ্গে গ্লুকোজ জাতীয় ট্যাবলেট রাখুন।


প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরমে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। তাই আসুন আমরা আজকের আর্টিকেল থেকে কিছুটা হলেও এই সম্পর্কে সচেতন হয়। আজকে আর্টিকেলটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোকবর্ষ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুণ। প্রীতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪