OrdinaryITPostAd

ইউটিউব অ্যাপ্সে ভিডিও কোয়ালিটি স্থায়ী উপায়ে সেট করার আধুনিক কৌশল

ইউটিউব অ্যাপ্সে ভিডিও কোয়ালিটি স্থায়ী উপায়ে সেট করার আধুনিক কৌশল সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। কি উপায়ে আপনি খুব সহজেই ইউটিউব অ্যাপ্সে ভিডিও কোয়ালিটি স্থায়ী উপায়ে সেট করবেন তার একটি আধুনিক কৌশল সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য আজকের এই বিস্তারিত আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
পোস্ট সূচিপত্রঃবর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম এর মধ্যে ইউটিউব বেশ জনপ্রিয়। ইউটিউবের মাধ্যমে আমরা কাছে বা দূরে সকল প্রকার নতুনত্ব চিন্তা চেতনার ধারণা খুব সহজেই পেতে পারি। বিশেষ করে অনেকে আবার ইউটিউব থেকে আয়-উপার্জনও করে থাকেন। আপনি ইচ্ছা করলে এটিকে পেশা হিসেবেও  বেছে নিতে পারেন। 

ইউটিউব অ্যাপ্সের ভিডিও কোয়ালিটি স্থায়ী উপায়ে সেট করার কৌশল

ইউটিউব অ্যাপে ভিডিও কোয়ালিটি স্থায়ীভাবে সেট করতে অনেকেই চান, তবে কি উপায়ে সেট করবেন তা অনেকেরই অজানা। বিশেষ করে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে মোবাইল অ্যাপ্স-এ ভিডিও দেখতে সকলেই পছন্দ করে থাকেন। তা যদি হয় HD quality ভিডিও, তাহলেতো ভিডিও দেখার একটি সুন্দর অভিজ্ঞতার সূচনা হয়। ইউটিউব অ্যাপ্সের ভিডিও কোয়ালিটি স্থায়ী উপায়ে সেট করার নিম্নোক্তভাবে কিছু কৌশল তুলে ধরা হলঃ

ক) অ্যাপ্স খোলার কৌশলঃ সাধারণত প্রায় স্মার্ট ফোনে দেখা যায় এই অ্যাপ্সটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমেই থাকে। কিন্তু, আপনি চাইলে যে কোন অ্যান্ড্রয়েড play store অথবা আইফোনের IOS store থেকেও সহজেই এটি ইন্সটল করিয়ে নিতে পারেন।
খ) গুগল প্রোফাইল ট্যাপ করার কৌশলঃ দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে ইউটিউব অ্যাপ্স এর নিচের ডান পার্শের প্রোফাইল লোগো এর উপরে একবার টাচ করুন। নিম্নোক্তভাবে চিত্রের সাহায্যে তুলে ধরা হল-
গ) প্রোফাইল সেটিংস-এ অগ্রসর হওয়ার কৌশলঃ প্রোফাইল লোগো এর উপরে টাচ করার পর স্ক্রিন এর একেবারে উপরের ডান পার্শে প্রোফাইল সেটিংস দেখতে পাবেন। তারপর সেটির উপরে টাচ করুন। নিম্নোক্তভাবে চিত্রের সাহায্যে তুলে ধরা হল-  
ঘ) অ্যাপ্স-এর Video quality preferences নির্বাচন করার কৌশলঃ অ্যাপ্স-এর Settings অপশনটিতে টাচ করার পর Video and audio preferences ঠিক নিচে Video quality preferences দেখতে পাবেন। সেটি নির্বাচন করুন। নিম্নে চিত্রের সাহায্যে বর্ণিত হল-  
ঙ) Wi-Fi এবং Mobile networks data পৃথকভাবে সেট করার কৌশলঃ অ্যাপ্স এর Video quality preferences নির্বাচন করা হয়ে গেলে এরপর আপনি Wi-Fi এবং Mobile Data দুইটিতে আলাদাভাবে Default Video quality নির্বাচিত করার সুযোগ পাবেন। আপনি ইচ্ছা করলে Mobile Data এর জন্য Data saver অপশন এবং Wi-Fi এর জন্য Higher picture quality অপশনটি অথবা Auto (recommended) অপশনটি নির্ধারণ করে রাখতে পারেন। নির্ধারণ হয়ে গেলে সেভ করার পর ব্যাক স্পেস দিয়ে অ্যাপ্স থেকে বের হয়ে আসুন। নিম্নে চিত্রের সাহায্যে বর্ণিত হল-   
বর্তমান সময়ে মটো ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য ইউটিউব অ্যাপ্স বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইউটিউব অ্যাপ্স এর সহায়তায় ভিডিও কোয়ালিটি স্থায়ীভাবে রাখার সুবিধা এখন একটি যুগান্তকারী ও সহজ মাধ্যম হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেছে। আবার অনেক সময় দেখা যায়, ইউটিউব থেকেও ভিডিওর কোয়ালিটি অনুযায়ী রেজুলেশন কম বা বেশী করে থাকে, যার কারণে HD কোয়ালিটি ভিডিও সরবরাহে সাময়িকভাবে বাঁধা দেয়। ভিডিও কোয়ালিটি বাঁধা দেয়ার ক্ষেত্রে আরও অনেক কারণ থাকতে পারে যার মধ্যে ইন্টারনেট স্পিড এর প্রধান প্রতিবন্দকতার কারণ হতে পারে। নিম্নে পর্যায়ক্রমে ইউটিউব অ্যাপ্সে ভিডিও দেখার বা কোয়ালিটি পরিবর্তনের নানাবিদ প্রক্রিয়াগত কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ 

ইউটিউব অ্যাপ্সের ভিডিও শুরুর প্রাথমিক কাজ কি হতে পারে

ইউটিউব অ্যাপ্সের ভিডিও শুরুর প্রাথমিক কাজ কি হতে পারে তা অনেকেই জানতে চান। ইউটিউব অ্যাপে যে কোন ভিডিও চালুর শুরুতেই আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে, তন্মধ্যে অন্যতম হল ইউটিউব অ্যাপ্সের ব্যাকগ্রাউন্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হচ্ছে কি-না সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি চালুর ক্ষেত্রে আমাদের কি কি করনীয় নিম্নে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলোঃ

১। ভিডিও লিংক রিকোয়েস্ট প্রদানঃ একজন ইউজার যখনই একটি ভিডিও চালু করেন, তৎক্ষনাথ ইউটিউব অ্যাপ্স সেই ভিডিওর আইডি বা URL সার্ভারে পাঠায়। তখনই ইউটিউব অ্যাপ্স এর ভিডিও চলতে থাকে। 

২। ভিডিও কোয়ালিটি নির্ণয়ঃ ইউটিউব সাধারণত Adaptive Bitrate Streaming প্রয়োগ করে থাকে। ফলে এর কারণে ইউটিউব ইন্টারনেট স্পিড অনুযায়ী ভিডিওর রেজুলেশন বিভিন্নভাবে যেমন-240p, 360p, 720p বা 1080p প্রদান করে থাকে।
৩। ইন্টারনেট স্পিড চেক করাঃ ইউটিউব অ্যাপ্স-এর ভিডিও কোয়ালিটি ও ইন্টারনেট স্পিড এর স্থায়িত্বের উপরে নির্ভর করে সঠিক ভিডিও কোয়ালিটি নির্বাচন করা সহজ হয়। যার কারুণে ইউটিউব অ্যাপ্স সকলের কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য একটি অ্যাপ্স। এছাড়া ইউটিউব অ্যাপ্সের ভিডিও শুরুর প্রাথমিক কাজ হিসেবে নিম্নোক্ত আরও কিছু জরুরি নির্দেশনা দেয়া যেতে পারে-
  • VIDEO & AUDIO CODEC SELECTION: ইউটিউব অ্যাপ নির্ধারণ করে আপনি চাইলে যেকোন ভিডিও ও অডিও কোডেক যেমন-AAC, H264 ও VP9 ব্যবহার করে দেখতে পারেন যা ডিভাইসের সাথে সামঞ্জস্য থাকে।
  • ADVERTISEMENT VIEW CHECK: ইউটিউব অ্যাপে যদি ভিডিও চলাকালীন বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয় তাহলে এই অপশনটি চালু থাকলে প্রথমে সেই বিজ্ঞাপনটি লোড করে এরপর ভিডিও চালু করে।
  • BUFFER LOAD প্রক্রিয়া: ভিডিও চালু হওয়ার আগে কিছু সেকেন্ডের জন্য ভিডিও ডাটা Buffer Load হয়। এর কারণ হল ভিডিও চলাকালীন সময় যাতে কোন প্রকার বিরতি না হয়।
  • PLAYBACK ENGINE TRIGGER: ইউটিউবের Buffer কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর এরপর আসে Playback Engine। Playback Engine এর প্রধান কাজ হল এটি ভিডিও চালু করে এবং ইউজার মোবাইল বা ট্যাব স্ক্রিনে ভিডিও দেখার সুযোগ পান।
  • USER INTERACTION READY: ইউটিউবের ভিডিও চালুর পরে ব্যবহারকারী চলমান ভিডিও-কে  USER INTERACTION এর মাধ্যমে Pause, Seek, Volume, Subtitle ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
  • CONTENT DELIVERY NETWORK: CONTENT DELIVERY NETWORK এর মাধ্যমে ইউটিউব পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে ভিডিও সরবরাহ করে, যার কারণে লোডিং-এ সময় কম লাগে।
  • ENCRYPTED STREAMING: ভিডিও ডেটা সমুহ HTTPS এবং TLS দ্বারা প্রোটোকলের মাধ্যমে নিরাপদভাবে ট্রান্সফার হয়ে থাকে।

শেষ কথাঃ

প্রিয় পাঠক, আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং ইউটিউব অ্যাপ্সে ভিডিও কয়ালিটি স্থায়ী উপায়ে সেট করার আধুনিক কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আশা করছি, ইউটিউবে স্থায়ীভাবে ভিডিও রেজুলেশন স্থায়ীভাবে সেট করতে এই সকল প্রযুক্তি বিষয়ক উপায় আপনার কাজে আসবে। ভবিষ্যতে, এমন আরও প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করার অনুরোধ জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিলাম, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোকবর্ষ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুণ। প্রীতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪