মহাকাশে কেউ মারা গেলে কি হয়
অবশ্যই, মহাকাশে মৃত্যুর বিষয়টি একদমই নতুন এবং গভীরভাবে গবেষণার দাবি রাখে। মহাকাশে মানুষের মৃত্যু হলে কী কী চ্যালেঞ্জ আসে, তার নৈতিক, বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত দিকগুলো বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। প্রিয় পাঠক, আমরা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে মহাকাশে কেউ মারা গেলে কি হয় সে সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ মহাকাশে মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণগুলো বেশ জটিল এবং ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। তাছড়াও, মহাকাশে মৃত্যুর সাথে অনেক প্রযুক্তিগত, নৈতিক, এবং আইনি চ্যালেঞ্জ জড়িত। এখানে কিছু প্রধান কারণ উল্লেখ করা হলো:
১। অক্সিজেনের অভাব (Hypoxia)
যদি কোনো মহাকাশচারীর স্পেসস্যুট ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা কোনো কারণে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তিনি দ্রুত শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যেতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ভবিষ্যতের তিনটি অভাবনীয় প্রযুক্তি
২। শূন্য-মাধ্যাকর্ষণজনিত শারীরিক সমস্যা
দীর্ঘ সময় শূন্য-মাধ্যাকর্ষণে থাকলে মানুষের শরীরে নানা পরিবর্তন ঘটে, যেমন হার্টের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা ইত্যাদি। এসব সমস্যা দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক হতে পারে।
৩। মহাকাশের চরম তাপমাত্রা
মহাকাশে তাপমাত্রার পার্থক্য ভয়াবহ। সূর্যের আলোতে তাপমাত্রা প্রায় +১২৫°C পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, আর অন্ধকারে -২০০°C এর নিচে নেমে যেতে পারে। যদি কেউ স্পেসস্যুট ছাড়া থাকেন, তাহলে তাপমাত্রার পরিবর্তন শরীরকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
৪। মহাজাগতিক বিকিরণ (Cosmic Radiation)
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল আমাদের রক্ষা করে, কিন্তু মহাকাশে উচ্চ-শক্তির বিকিরণ রয়েছে যা শরীরের কোষের ক্ষতি করতে পারে, ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারে।
আরও পড়ুনঃ সময় নিরূপণে চাঁদের বুকে টাইম জোন
৫। মহাকাশযানের দুর্ঘটনা
মহাকাশযান বা স্পেস স্টেশনের যান্ত্রিক ত্রুটি, বিস্ফোরণ বা সংঘর্ষজনিত দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।
৬। চাপ এবং মানসিক সমস্যা
অত্যন্ত বিচ্ছিন্ন পরিবেশে দীর্ঘদিন থাকার ফলে মানসিক চাপ বাড়তে পারে, যা আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্তের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৭। খাদ্য ও পানির অভাব
যদি খাদ্য বা পানির সরবরাহ ব্যাহত হয়, তাহলে ধীরে ধীরে মৃত্যু হতে পারে।
মহাকাশে মানুষের শরীর নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়, যা দীর্ঘমেয়াদে উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশের সাথে শরীর খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করে, কিন্তু কিছু প্রভাব ক্ষতিকর হতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদে উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জ নিম্নরূপ_
ক) মাধ্যাকর্ষণের অনুপস্থিতি এবং পেশির দুর্বলতাঃ
পৃথিবীতে আমাদের পেশি ও হাড় সারাক্ষণ মাধ্যাকর্ষণের বিরুদ্ধে কাজ করে, কিন্তু মহাকাশে এই চাপ থাকে না। ফলে—
- পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে।
- হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়, যা ভবিষ্যতে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- দেহের ভারসাম্যজনিত সমস্যা দেখা দেয়, কারণ মহাকাশে শরীরের নড়াচড়া ভিন্নভাবে ঘটে।
খ) হৃদযন্ত্রের পরিবর্তনঃ
মহাকাশে রক্ত সঞ্চালনের ধরন বদলে যায়—
- হৃদপিণ্ড আকারে কিছুটা ছোট হয়ে যেতে পারে, কারণ এটি মাধ্যাকর্ষণের বিরুদ্ধে রক্ত পাম্প করতে হয় না।
- মুখ ও মাথায় রক্ত জমে যায়, ফলে "মহাকাশের মুখ" বা ফোলা মুখের অনুভূতি দেখা দেয়।
- রক্তচাপের পরিবর্তন ঘটে, যা মহাকাশে থাকাকালীন বা পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
গ) চোখ ও দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তনঃ
- মহাকাশে দীর্ঘ সময় থাকলে অনেক মহাকাশচারীর দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে যায়।
- চোখের পেছনের অংশে বিকৃতি দেখা দিতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে দৃষ্টির সমস্যা তৈরি করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ আদিত্য এল-১ মহাকাশযান
ঘ) ইমিউন সিস্টেমের দুর্বলতাঃ
মহাকাশে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, ফলে মহাকাশচারীরা সংক্রমণের প্রতি বেশি সংবেদনশীল হতে পারেন।
ঙ) মহাজাগতিক বিকিরণের ক্ষতিঃ
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল আমাদের ক্ষতিকর বিকিরণ থেকে রক্ষা করে, কিন্তু মহাকাশে—
- ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে, কারণ বিকিরণ শরীরের কোষের ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
- স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়, যা স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধিমত্তার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
চ) মানসিক ও মনস্তাত্ত্বিক চ্যালেঞ্জঃ
- বিচ্ছিন্নতা ও একঘেয়েমি মহাকাশচারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বড় প্রভাব ফেলে।
- ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়, কারণ মহাকাশে দিন-রাতের চক্র ভিন্ন।
- মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বাড়তে পারে, বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী অভিযানে।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মহাকাশ গবেষকরা নতুন নতুন সমাধান খুঁজছেন, যেমন মহাকাশযানে কৃত্রিম মাধ্যাকর্ষণ তৈরি করা, উন্নত খাদ্য ও ঔষুধের ব্যবহার, নিয়মিত ব্যায়াম, ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ কোন সময়ের রোদে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়
মহাকাশে মৃত্যুর পর মানুষের শরীরে বেশ কিছু ভিন্নতর পরিবর্তন ঘটে, যা পৃথিবীর পরিবেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর তুলনায় আলাদা হতে পারে_
১. শূন্য-মাধ্যাকর্ষণে শরীরের অবস্থান
পৃথিবীতে মৃত্যুর পর শরীর মাটিতে শুয়ে থাকে, কিন্তু মহাকাশে যদি কেউ মৃত্যুবরণ করেন, তাহলে শরীর ভেসে থাকতে পারে। যদি স্পেস স্টেশন বা মহাকাশযানের ভেতরে মৃত্যু ঘটে, তাহলে শরীর বাতাসের প্রবাহ অনুযায়ী অবস্থান পরিবর্তন করবে।
২. দেহে তরল সঞ্চালনের পরিবর্তন
পৃথিবীতে মৃত্যুর পর রক্ত ও অন্যান্য তরল পদার্থ নিচের দিকে জমা হতে থাকে, যা মরদেহে "লিভিডিটি" সৃষ্টি করে। কিন্তু মহাকাশে শূন্য-মাধ্যাকর্ষণের কারণে এই তরল সঞ্চালন সেভাবে ঘটবে না। ফলে শরীরের রঙ পরিবর্তনের ধরন পৃথিবীর তুলনায় আলাদা হবে।
৩. নিস্তেজতা ও রিগর মর্টিস
মৃত্যুর পর সাধারণত পেশিগুলো শক্ত হয়ে যায়, যাকে রিগর মর্টিস বলা হয়। মহাকাশে ঠান্ডা পরিবেশে এই প্রক্রিয়াটি হয়তো বিলম্বিত হবে, তবে শরীরের পেশিতে শক্তভাব আসবে।
আরও পড়ুনঃ খালি চোখে রাত্রিতে দেখা মিলল শনি গ্রহ !
৪. বিকিরণের প্রভাব
মহাজাগতিক বিকিরণ মৃতদেহের কোষের গঠন পরিবর্তন করতে পারে। যদি মরদেহ দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকে, তাহলে বিকিরণের কারণে কোষের বিভাজন ও রাসায়নিক গঠন ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে পারে।
৫. পচন ও ব্যাকটেরিয়ার কার্যকারিতা
পৃথিবীতে জীবাণুর কারণে মরদেহ ধীরে ধীরে পচে যায়। মহাকাশে, যেখানে অক্সিজেন ও ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কম, সেখানে পচনের গতি অনেক কম হতে পারে। যদি মরদেহকে মহাকাশযানে সংরক্ষণ করা হয়, তাহলে এটি দীর্ঘ সময় সেভাবেই থাকতে পারে।
৬. তাপমাত্রার পরিবর্তন
যদি মৃতদেহ মহাকাশে মুক্তভাবে থাকে, তাহলে এটি দ্রুত অত্যন্ত ঠান্ডা (-২০০°C) হয়ে যাবে, কারণ সেখানে কোনো উষ্ণ বায়ুমণ্ডল নেই যা তাপ সংরক্ষণ করতে পারে।
৭. মরদেহের ব্যবস্থাপনা
মহাকাশ অভিযানে কেউ মারা গেলে, কীভাবে মরদেহ সংরক্ষণ করা হবে, সেটি এখনো একটি গবেষণার বিষয়। কিছু প্রস্তাবিত পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে—
- শরীরকে ক্রায়োজেনিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা (বরফের মতো জমিয়ে রাখা)।
- পৃথিবীতে ফেরত পাঠানো।
- মহাকাশে নির্দিষ্টভাবে বিদায় দেওয়া, যেমন ভিন্ন গ্রহের দিকে পাঠানো।
উপরোক্ত বিষয়গুলো ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মহাকাশে মরদেহের ব্যবস্থাপনা নিয়ে জানা-অজানা
মহাকাশে মৃত্যু হলে মরদেহ সংরক্ষণ ও পরিচালনার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জপূর্ণ। পৃথিবীতে মৃতদেহ সাধারণভাবে সমাহিত করা, দাহ করা বা সংরক্ষণ করা সম্ভব কিন্তু মহাকাশের পরিবেশ একেবারে আলাদা।
# মরদেহ সংরক্ষণের সম্ভাব্য পদ্ধতি
মহাকাশ অভিযানে কেউ মারা গেলে, মরদেহ সংরক্ষণের কয়েকটি সম্ভাব্য পদ্ধতি রয়েছে_
১। ক্রায়োজেনিক সংরক্ষণ
মরদেহকে অতি নিম্ন তাপমাত্রায় জমিয়ে রাখা যেতে পারে, যাতে এটি দীর্ঘ সময় অক্ষত থাকে।
২। শূন্য-মাধ্যাকর্ষণে বায়ুরোধী প্যাকিং
মরদেহকে বিশেষভাবে প্যাক করে সংরক্ষণ করা হতে পারে, যাতে দুর্গন্ধ বা অন্যান্য জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা না থাকে।
৩। স্পেস ক্যাপসুলে সংরক্ষণ
মহাকাশযানের ভেতরে একটি বিশেষ জায়গায় মরদেহ রাখা হতে পারে, যেখানে এটি নিরাপদ থাকবে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বায়নে এল নিনো সংকট কি? তা জানুন!!!
৪। পৃথিবীতে ফেরত পাঠানো
যদি মহাকাশযান পৃথিবীতে ফেরার পরিকল্পনায় থাকে, তবে মরদেহকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনে যথাযথভাবে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা যেতে পারে। এটি বেশ ব্যয়বহুল এবং প্রযুক্তিগতভাবে জটিল, তবে এটি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
৫। মহাকাশে বিদায় দেওয়া
কিছু গবেষক প্রস্তাব করেছেন যে, মহাকাশে কেউ মারা গেলে তার দেহকে মহাশূন্যে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে এটি প্রযুক্তিগত এবং নৈতিকভাবে বিতর্কিত, কারণ মহাকাশে কোনো মৃতদেহ ভাসতে থাকলে সেটি ভবিষ্যতে অন্য মহাকাশযানের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
৬। গ্রহ বা চন্দ্রপৃষ্ঠে সমাহিত করা
যদি চাঁদ বা মঙ্গলে মানুষের বসবাস স্থাপিত হয়, তবে মৃতদেহকে সেখানে সমাহিত করার ব্যবস্থা থাকতে পারে। এটি পৃথিবীর মতোই একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হতে পারে, তবে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের আইন ও নীতি প্রয়োজন হবে।
৭। পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপায়ে ব্যবস্থাপনা
বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতে এমন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন, যেখানে মানবদেহের উপাদানকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপায়ে ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে—যেমন বায়োলজিক্যাল পুনর্ব্যবহার।
এই বিষয়ে এখনো অনেক গবেষণা চলছে। ভবিষ্যতে মহাকাশ অভিযানের সংখ্যা বাড়লে, মরদেহ সংরক্ষণ ও পরিচালনার নীতিমালা আরও স্পষ্ট হবে।
মানবিক ও আইনি দিক থেকে
মহাকাশে মৃত্যুর বিষয়টি কেবল বিজ্ঞান নয়, মানবিক ও আইনি দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।
আইনি এবং নৈতিক জটিলতা
মহাকাশে মৃত্যুর ঘটনা এখনো খুব বিরল, তবে ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আইনি এবং নৈতিক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হতে পারে।
১) মালিকানা এবং দাফনের প্রশ্ন
- পৃথিবীতে প্রত্যেক দেশের নিজস্ব আইন রয়েছে, কিন্তু মহাকাশে কেউ মারা গেলে কোনো দেশের আইন প্রযোজ্য হবে?
- যদি কোনো মহাকাশচারী চাঁদ বা মঙ্গলে মারা যান, তার মরদেহ কোথায় সমাহিত করা হবে এবং কিভাবে তা করা হবে?
২) আন্তর্জাতিক আইন
- ১৯৬৭ সালের Outer Space Treaty অনুযায়ী, কোনো দেশই মহাকাশ বা গ্রহের উপর অধিকার দাবি করতে পারে না। তবে মহাকাশে মৃত্যুর পর দেহ সংরক্ষণের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট আইন নেই।
- যদি কোনো মহাকাশচারীর মৃত্যু হয় এবং তার দেহ মহাশূন্যে পাঠানো হয়, তবে সেটি অবৈধ মহাকাশ বর্জ্য হিসেবে গণ্য হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক আছে।
আরও পড়ুনঃ গাড়ির নম্বর প্লেট সম্পর্কে জানুন
৩) নৈতিক দ্বন্দ্ব
- কেউ যদি মহাকাশ অভিযানে গুরুতরভাবে অসুস্থ হন, তাহলে তার চিকিৎসার কী ব্যবস্থা থাকবে এবং কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে?
- যদি কোনো ব্যক্তি মহাকাশে মারা যান এবং তার দেহ পৃথিবীতে ফেরত পাঠানো সম্ভব না হয়, তাহলে পরিবারের অনুভূতি এবং নৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
ভবিষ্যতে মহাকাশ অভিযানে এর প্রভাব
১) মহাকাশে জীবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
- ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশ অভিযানের সংখ্যা বাড়লে, স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ও জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে।
- মহাকাশযানে মেডিকেল রোবট এবং উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তি থাকতে হবে, যাতে দূরবর্তী চিকিৎসা সম্ভব হয়।
২) নতুন আইন ও নীতি তৈরির প্রয়োজনীয়তা
- মহাকাশে মৃত্যু হলে সেটি কীভাবে পরিচালনা করা হবে, তা নির্ধারণের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ আই দরকার।
- মহাকাশে দেহ সংরক্ষণের জন্য বিশেষ নীতিমালা তৈরি হতে পারে, যেন মরদেহ যথাযথভাবে পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুনঃ বজ্রপাতের কারণ ও বাঁচার উপায় জানুন
৩) দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশবাসের জন্য নৈতিক দিক
- ভবিষ্যতে যদি মানুষ মঙ্গলে বসবাস শুরু করে, তাহলে সেখানে মানব সমাজের নিয়ম কীভাবে গড়ে উঠবে?
- মৃত্যুর পর দেহের ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে, সেটি নতুন গবেষণা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হতে পারে।
আলোকবর্ষ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুণ। প্রীতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।
comment url